ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে আইনি নোটিশ

আপলোড সময় : ২২-০৯-২০২৪ ০৩:২০:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২২-০৯-২০২৪ ০৩:২০:৩২ অপরাহ্ন
​ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে আইনি নোটিশ ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
বাংলা স্কুপ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪: 
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রফতানি কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) এই নোটিশ পাঠান।
আইনি নোটিশে পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
মাহমুদুল হাসান জানান, বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য কোনো মাছ নয়। এ পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছে।
 আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ইলিশ একটি সামুদ্রিক মাছ। এই ইলিশ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়‌। এই ইলিশ যখন সমুদ্র থেকে নদীতে, বিশেষ করে বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে আসে, তখন অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে ওঠে। এই কারণে সামুদ্রিক ইলিশের চেয়ে পদ্মার ইলিশ অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুস্বাদু।
তিনি জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিশাল ও বিস্তৃত সমুদ্রসীমা রয়েছে। ভারতের জলসীমায় ব্যাপকভাবে ইলিশ উৎপাদন হয়। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ মাছ আমদানির কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রফতানিকারকরা সারা বছর ধরে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুত করে রাখে এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ ভারতে রফতানি এবং ক্ষেত্র বিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। দেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি ও পাচার হ‌ওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার ইলিশ পায় না। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশের মতো সুস্বাদু নয়।
এ আইনজীবী আরও জানান, বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে যে সীমিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়, তা বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট নয়। এমতাবস্থায় যদি পদ্মার সব ইলিশ ভারতে চলে যায় তাহলে বাংলাদেশের জনগণ এই ইলিশ খেতে পারবে না‌। এভাবে বাংলাদেশের জনগণকে পদ্মার ইলিশ থেকে বঞ্চিত করে ভারতের জনগণকে খাওয়ানো বাংলাদেশের সরকারের জন্য সমীচীন নয়। এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র ভারত থেকে আমদানি করে থাকে, কিন্তু ভারত সরকার কখনোই তার নিজের দেশের জনগণের চাহিদা না মিটিয়ে বাংলাদেশে কোনও পণ্য রপ্তানি করে না।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন রপ্তানিকারকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্তাবলি পূরণসাপেক্ষে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রফতানি-২ শাখা, কক্ষ নম্বর ১২৭, ভবন নম্বর ৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়) আবেদন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
 
ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ